প্রায় ৭ মিনিট ৫০ সেকেন্ড ধরে ট্যাংকে জেলিফিশগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। শুরুতে ট্রিপেডালিয়া সিস্টোফোরা জেলিফিশগুলো শিকড়ের কাছাকাছি সাঁতার কাটে। শিকড়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের মুখে পড়ে। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, জেলিফিশগুলো শিকড় প্রাচীরের সঙ্গে তাদের গড় দূরত্ব প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলেছে। সংঘর্ষ এড়াতে নিজেদের চলাফেরায় চার গুণ পরিবর্তন এনে ফেলে।
গবেষণায় জানা যাচ্ছে, ট্রিপেডালিয়া সিস্টোফোরা চাক্ষুষ ও যান্ত্রিক উদ্দীপনার মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করতে পারে। আর তা থেকে শিখতে পারে। নেদারল্যান্ডসের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ডারস গার্ম বলেন, আপনি যদি জটিল কাঠামো বুঝতে চান, তাহলে যতটা সম্ভব সহজ থেকে শুরু করা সব সময়ই ভালো। জেলিফিশের তুলনামূলকভাবে সহজ স্নায়ুতন্ত্র। এই স্নায়ুতন্ত্রকে বোঝার অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে। আমরা জেলিফিশ কীভাবে নতুন আচরণ আয়ত্ত করে, তা বোঝার কাজ করছি। জেলিফিশের ভিজ্যুয়াল সেন্সরি সেন্টার রোপালিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে পরীক্ষা করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া শনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জেলিফিশের শিক্ষা নিয়ে গবেষণাপত্র ‘কারেন্ট বায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, জেলিফিশ শিক্ষার জন্য চাক্ষুষ ও যান্ত্রিক উদ্দীপনার সমন্বয় করতে পারে। জেলিফিশের রোপালিয়াম একটি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এটি আশ্চর্যজনক যে এই প্রাণীগুলো দ্রুততার সঙ্গে শিখেছে। জেলিফিশ উন্নত প্রাণীদের মতো একই গতিতে শিখতে পারে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সহজ স্নায়ুতন্ত্রও উন্নত শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম বলে মনে হয়।
সূত্র: সায়েন্স ডেইলি ও সাই নিউজ
Learn more