Jess Garden Park
05-05-2025
পহেলগামে নিরাপত্তাবাহিনীর একটা 'কোম্পানি' সবসময়ে মোতায়েন থাকে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আছেন সেখান, কিন্তু তাদের সংখ্যা বেশি নয়।
পহেলগাম বাজার থেকে সেনাবাহিনীর এই ছাউনিটা প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। যার অর্থ হলো বৈসরণের ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১২ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর অবস্থান। আর কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফের অবস্থান ঘটনাস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে – পহেলগাম বাজারের কাছে।
পহেলগামে পুলিশ থানাও আছে আর রয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মোট পুলিশ কর্মীর সংখ্যা অন্তত ৪০।
পহেলগামের বাসিন্দা বছর ৫০-এর এক নারী বলছিলেন যে কয়েক বছর আগে পর্যন্তও তিনি বৈসরণের রাস্তা দিয়ে কাঠ আনতে জঙ্গলে যেতেন। তিনি এই এলাকায় কখনো পুলিশকর্মীদের দেখেননি।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন যে গত কয়েক বছর ধরেই পহেলগাম শান্ত রয়েছে। তাই পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী আন্দাজই করতে পারেনি যে এরকম কোনো ঘটনা হতে পারে।
তিনি আরও বলছিলেন যে নিরাপত্তাবাহিনীর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ছিল যে পহেলগামে কোনো 'চরমপন্থি' হামলা হতেই পারে না।
একটি সূত্র জানিয়েছে যে বৈসরণে হামলার আগে ওই পার্কে ১০৯২ জন পর্যটক ছিলেন, আর গুলি চলার সময়ে ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক হাজির ছিলেন। তার কথায় হামলার আগের দিন প্রায় ২৫০০ পর্যটক ওই পার্কে গিয়েছিলেন।
পহেলগাম বাজার থেকে বৈসরণের রাস্তাটি জঙ্গলের মধ্যে যাওয়া এক পাথুরে পাহাড়ি পথ।
এখানে পর্যটকদের হয় ঘোড়ায় চেপে অথবা পায়ে হেঁটে যেতে হয়।
Survey
Did you find the website easy to navigate?